বৈরুত থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর পাশাপাশি লেবানন থেকে সব ধরনের পণ্যের আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা।
সৌদি আরবের এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর বাহরাইনও তাদের দেশ থেকে লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কয়েকদিন আগে প্রচারিত লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোরদাহির এক সাক্ষাৎকারই সৌদি আরবকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল।
অগাস্টে রেকর্ড হওয়া ওই সাক্ষাৎকারে কোরদাহি ইয়েমেনে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘আগ্রাসন চালাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ৭ বছর ধরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।
মন্ত্রী হওয়ার আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারটিতে কোরদাহি ইয়েমেনের যুদ্ধকে ‘অনর্থক’ অভিহিত করে বলেছিলেন, হুতিরা কেবলমাত্র ‘আত্মরক্ষাই’ করছে।
সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হওয়ার পর লেবাননের সরকার বলেছে, এসব কোরদাহির ব্যক্তিগত মন্তব্য, সরকারের অবস্থানের প্রতিফলন নয়।
লেবাননে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রভাব বাড়ায় রিয়াদ ও বৈরুতের মধ্যে সম্পর্কের ক্রমাবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হিজবুল্লাহ ইয়েমেনের হুতিদের সমর্থন দিয়ে আসছে।
কোরদাহি যে রাজনৈতিক ব্লকের সদস্য তারা হিজবুল্লাহর মিত্র।
সৌদি আরব ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে ‘দুঃখ’ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।
ক্ষতিগ্রস্ত সম্পর্ক মেরামতে বৈরুত চেষ্টা চালিয়ে যাবে, বলেছেন তিনি।